জনতারকন্ঠ ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে (প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস) ‘কাসর আল ওয়াতান’-এর দরজা খুলে গেলো। পর্যটকরা এখন চাইলে সেখানে ঘুরে আসতে পারবেন। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মুগ্ধতা।
বিশাল সাদা গম্বুজ, মনোরম বাগান ও চমকপ্রদ ঝাড়বাতিতে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে অ্যারাবিয়ান ঐতিহ্য ও নকশার স্ফূরণ দেখা যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের পরিচয় বহন করছে এটি।
ভ্রমণপিপাসুরা প্রাসাদের ভেতর অ্যারাবিক প্রথার প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় দর্শনীয় শো উপভোগ করতে পারবেন। তাই এটাকে সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলের ল্যান্ডস্কেপের নিদর্শন হিসেবে প্রাসাদের ইন্টেরিয়র সাজাতে সাদা, হলুদ ও নীল রঙের ব্যবহার রয়েছে। ভেতরে বিশাল বিশাল কয়েকটি জায়গা আছে। এর মধ্যে অন্যতম গ্রেট হল। বিভিন্ন কক্ষে শোভা পাচ্ছে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির পাওয়া উপহার সামগ্রী। ৫০ হাজারেরও বেশি বই ও দলিল সমৃদ্ধ কাসর আল ওয়াতান গ্রন্থাগার রয়েছে এখানে।
এ মাসের শুরুতে কাসার আল ওয়াতানে দর্শনার্থীদের বেড়ানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আর দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। স্থাপনাটিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রগতিশীল যাত্রার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও আমিরাতের সাতটি অঞ্চলের আমিররা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম লিখেছেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে মাথায় রেখে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে একটি জায়গা বরাদ্দ দিয়েছি। এর নাম কাসর আল ওয়াতান। এটি হলো ‘প্যালেস অব দ্য নেশন’। এখানে বেড়াতে এলে দর্শনার্থীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।”
প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রপতি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির যুবরাজের আনুষ্ঠানিক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পর্যটনের বিকাশে এটি আবারও চালু হলো। সপ্তাহে সাতদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে কাসর আল ওয়াতান।
২০১৭ সালে লুভর আবুধাবি চালুর উদ্যোগ সফল হওয়ায় কাসর আল ওয়াতানের দরজা উন্মুক্ত হলো। প্রথম বছরেই ১০ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে এই জাদুঘরে।
জনতারকন্ঠ/এমজে
বিনোদন, লাইফস্টাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, ভ্রমণ, তারুণ্য, ক্যাম্পাস নিয়ে লিখতে পারেন আপনিও -
janoterkontho@gmail.com or মতিঝিল অফিসঃ খান ম্যানশন, ১০৭ মতিঝিল, ঢাকা-১০০০